রাস্তা না থাকায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি কাজে আসছে না। সরকারিভাবে মাটি ভরাট না করায় বছরের অধিকাংশ সময় এটি পানির নিচে ডুবে থাকে। তাই বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এভাবে চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন তারা।
বৃহস্পতিবার নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা মৎস্যজীবীপাড়া এলাকার গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন সেতু-কালভার্ট নির্মাণ কর্মসূচির অর্থায়নে গাড়ফা মৎস্যজীবীপাড়ায় একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। এ সময় সেতুটির সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। এ ছাড়া নিচু রাস্তায় সরকারিভাবে মাটি ভরাট না করায় বছরের অধিকাংশ সময় এটি পানির নিচে ডুবে থাকে।
একদিকে সংযোগ রাস্তা না থাকা, অপরদিকে নিচু রাস্তার কারণে সেতুটি জনসাধারণের কোনো কাজেই লাগছে না। তাই বাধ্য হয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতুতে উঠছেন। এদিকে সেতুর অপর পাড়েও সংযোগ রাস্তা না থাকায় অনেক সময়েই শিশু ও বৃদ্ধরা সেতুতে ওঠানামার সময় পড়ে গিয়ে আহত হন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য রুস্তম আলী বলেন, আমি ইউপি সদস্য থাকাকালে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা ভেবে দৌড়ঝাঁপ করে সেতুটি নির্মাণ করিয়েছিলাম। কিন্তু পরে দীর্ঘ ১০ বছর চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও সংযোগ সড়কসহ বাকি রাস্তায় মাটি ফেলতে পারিনি। বাধ্য হয়ে আমি নিজের টাকা খরচ করে সেতুর দুই পাড়ে কিছু মাটি ফেললেও পরে বর্ষার পানিতে তা ধসে গেছে। এতে এ গ্রামের প্রায় এক-দেড়শ পরিবার চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
চান্দাই ইউপি চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভীন বলেন, আমি সবে মাত্র নির্বাচিত হয়েছি। এখনো দায়িত্বভার বুঝে পাইনি। দায়িত্ব পেয়ে আমি রাস্তাটি পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করব।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।